বাউফলে গৃহবধূ হত্যা; তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন

বাউফলে গৃহবধূ হত্যা; তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন

 

এম অহিদুজ্জামান ডিউক , প্রতিনিধি বাউফল: পটুয়াখালী বাউফলে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়ে শাহনাজ বেগম (২২) নামের এক গৃহবধূ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায়  মারা গেছেন। ওই গৃহবধূর স্বামীর নাম হাসান প্যাদা। বাউফলের দাশপাড়া বাস স্ট্যান্ডের এলাকায় তার বাড়ি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানানা, প্রায় ৪ বছর আগে শাহনাজ আপন মামাতো ভাই হাসান প্যাদাকে  ভালবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু হাসানের বাবা আনোয়ার হোসেন প্যাদা এ বিয়ে মেয়ে নেয়নি। তাই হাসান তার স্ত্রী শাহনাজকে নিয়ে একই বাড়িতে শ্বাশুরী সেফালি বেগমের ঘরে থাকত। ঘটনার দিন বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে হাসান, তার বাবা আনোয়ার, মা পিয়ারা বেগম ও চাচা বাচ্চু প্যাদা শাহনাজকে তার মায়ের ঘর থেকে টেনেহেচরে  বাইরে নামিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে শাহনাজ অচেতন হয়ে পরে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাড়ির কয়েকজন জানান, নির্যাতনের শিকার শাহনাজ পানি সেবন করতে চাইলে তার চাচা শ্বশুর বাচ্চু প্যাদা ঘর থেকে এক গ্লাস পানি এনে দেন। শাহনাজ পানি খাওয়ার পর বমি করেন। তখন বমির সাথে দুর্গন্ধ বের হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পানির সাথে বিষ মিশিয়ে দেয়া হয়। এরপর শাহনাজের মা অন্যান্যদের সহায়তায় মেয়েকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কিন্তু তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে বরিশাল শেরেই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। চিকিৎসাধিন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শাহনাজ মারা যায়। শাহনাজের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলায়। শাহনাজ তার মায়ের সাথে দাশপাড়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে নানা বাড়ি থাকত। অভিযোগ রয়েছে, একটি মহল মোটা অংঙ্কের টাকার বিনিময় ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন।
বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে কেউ অভিযোগ করেননি।’
অপর দিকে নওমালা গ্রামে জেরিন আক্তার (১৫) নামের এক শিক্ষার্থী গলায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেও বাউফল থানর ওসি ময়না তদন্ত ছাড়াই ওই শিক্ষার্থীর লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছেন। ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেরিনের বাবা মায়ের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়না তদন্ত করা হয়নি।’